পুদিনা পাতা- পুদিনা গাছের পাতা ডিম্বাকৃতির,পাতার কিনারা খাঁজকাটা ও সুগন্ধীযুক্ত। কাণ্ডের রঙ বেগুনি, পাতার রঙ সবুজ। পাতা কিছুটা রোমশ ও মিন্টের তীব্র গন্ধযুক্ত। পুদিনা পাতার মূল, পাতা, কান্ড সহ পুরো গাছটাই ঔষুধীগুনে পরিপূর্ণ। খাবারে বাড়তি রিফ্রেশমেন্ট তৈরি করে পুদিনা পাতা। পুদিনার ফ্লেভারের জন্য এর পাতা সুগন্ধি হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। খাবারে একটু ভিন্ন স্বাদ যোগ করতে সালাদ, চাটনি কিংবা ভর্তা খুবই মজাদার। আর ভেষজ চায়ের মধ্যে পুদিনা পাতার চা বেশ জনপ্রিয় পানীয়। খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেওয়া এই উপাদানের ভেষজ গুণাগুণও অনেক। পটাশিয়াম পূর্ণ পুদিনা পাতায় খনিজ উপাদানের মাঝে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি ও এ পাওয়া যাবে, চর্বি ও ক্যালরির মাত্রা কম এবং কোলেস্টেরল নেই। বিভিন্ন উপায়ে পুদিনা পাতার চা শরীরের উপকার করে। এই চা শরীর শীতল করে এবং শক্তি বাড়ায়। একই সঙ্গে মাথা ব্যথা, সাইনাস এবং পেটের সমস্যার জন্য এটি দারুন উপকারী। পুদিনা চা হজমশক্তি বাড়ায় এবং প্রদাহজনিত ব্যথা কমায়। অনেকেই পুদিনা পাতার তৈরি চা পান করতে পছন্দ করেন। প্রতিদিন মাত্র ১ কাপ পুদিনা পাতার চা আমাদের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
ভিউয়ারস জেনে নিন ভেষজ চা পুদিনা পাতার চায়ের গুনাগুন-
নাম্বার ১) অ্যাজমাসহ অন্যান্য শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূরে রাখে
পুদিনা পাতার অসাধারণ ঘ্রাণ শ্বাসপ্রশ্বাস নালীর নানা সমস্যা জনিত রোগ দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার চা পানে অ্যাজমা সহ শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাও দূর হবে।
নাম্বার ২) মুখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা দূর করে-
পুদিনা পাতা জীবাণুনাশক হিসাবে কাজ করে। পুদিনা পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বিশেষভাবে সহায়ক। পুদিনা পাতার চা পানে মুখের ইনফেকশন জনিত সমস্যা দূর হয় এবং নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
নাম্বার ৩) উচ্চ রক্ত চাপ দূর করে-
পটাশিয়ামে ভরপুর পুদিনা পাতার চা উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা কমায় এবং হার্টবিটের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
নাম্বার ৪) বিষণ্ণতা দূর করে-
পুদিনা পাতার চায়ের রয়েছে মানসিক চাপ দূর করে মস্তিষ্ক রিলাক্স করার জাদুকরী ক্ষমতা। মানসিক চাপের পাশাপাশি এটি দূর করে আপনার বিষণ্ণতার সমস্যাও। এটি মানসিক ও শারীরিক প্রশান্তিও দেয়।
নাম্বার ৫) স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে -
পুদিনা পাতার ঘ্রাণ নেয়া মস্তিষ্কের জন্য বেশ ভালো। গবেষণায় দেখা যায় পুদিনা পাতার চায়ের সুঘ্রাণ মস্তিষ্ককে সজাগ, সচেতন রাখে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
নাম্বার ৬) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে-
পুদিনা পাতার মেন্থল নামক উপাদান দেহে নানা ধরণের ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে, বিশেষ করে প্রোস্টেট ক্যান্সার।
নাম্বার ৭) বমিভাব দূর করে
অনেকেই নানা কারণে বমি ভাবের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এমন অবস্থায় খাওয়া দাওয়া করা যায় না একেবারেই। এই বমি ভাবের সমাধান পাবেন পুদিনা পাতার চায়ে।
নাম্বার ৮) দেহের নানারকম ব্যথা দূর করে
মাথা ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা এমনকি পেটে ব্যথার মতো সমস্যাও দূর করতে সহায়তা করে পুদিনা পাতার চা।
ভিউয়ারস এখন দেখুন কিভাবে তৈরি করবেন পুদিনা পাতার চা-
১. প্রথমে একটি পাত্রে ১ ১/২ কাপ পানি ফুটিয়ে নিন
২. এবার পানিতে পুদিনা পাতা ছেড়ে দিন। পাতাগুলো শুকনো কিংবা তাজা-সবরকমই হতে পারে। এখন পাতার নির্জাস ছড়ানোর জন্য পাতাগুলো ৫ থেকে ১০ মিনিট ফুটান।
৩. ভালোভাবে জ্বাল হলে চুলা বন্ধ করে দিন।
৪. ব্যস তৈরি হয়ে গেল পুদিনা পাতার চা।
স্বাদ বাড়াতে পুদিনা পাতার চায়ে মধু যোগ করতে পারেন।
রসুইঘরে যেমন পুদিনা পাতার ব্যবহার করা হয়, সুস্বাস্থ্য রক্ষায়ও আছে এর ব্যবহার। পুদিনা পাতার চা শরীরের জন্য খুবই উপকারী যা মুহূর্তেই আপনার শরীরকে করবে চাঙ্গা। এছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর উপকারিতা তো আছেই।
0 Comments